জম্মু-কাশ্মিরে সেনা অভিযান, ৩ জওয়ান ও ৪ হিজবুল সদস্য নিহত

কাশ্মিরে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের কুলগ্রাম জেলায় এক সেনা অভিযানে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সশস্ত্র হিজবুল সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ওই সংঘর্ষে অন্তত তিনজন জওয়ান এবং আরও চারজন হিজবুল সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনও অভিযান চলছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মিরের কুলগাম জেলার নওপোরা ইয়ারিপোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এসময় হিজবুল সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় সেনা সদস্যদের।

সংঘর্ষে তিন ভারতীয় জওয়ান এবং চার হিজবুল সদস্য নিহতের কথা জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

তবে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখনও অভিযান চলছে। হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য আসছে।’

সেনাবাহিনীর গুলিতে আরও চারজন নিহত হলেও আরও দুই হিজবুল সদস্য একটি আবাসিক বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। পলাতক বাকি হিজবুল সদস্যদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

ওই চার হিজবুল সদস্যের মরদেহ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ হাশিম ও মুদাসসির তান্তিরি নামে দু’জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই সশস্ত্র কাশ্মিরি নেতা নিহত হয়েছেন। কাশ্মিরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় বারামুল্লা জেলার রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত সপোরে শহরে ঢোকার মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তারা নিহত হন।   

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ জুলাই অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। বুরহান নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মির জুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ কাশ্মিরিদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ আরও জোরালো হলে পুরো কাশ্মিরজুড়ে কারফিউ সম্প্রসারিত হয়।

বুরহান নিহতের পর শুরু হওয়া সহিংসতায় ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।

/এসএ/বিএ/