মুসলিম নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে ট্রাম্পকে জ্ঞান দেবেন না ট্রুডো

ট্রাম্প-ট্রুডোকানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শরণার্থী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনও জ্ঞান দিতে চান না।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সফররত ট্রুডো বলেন, ‘কানাডীয়দের ধারণা অনুযায়ী, সর্বশেষ যে কাজটি আমি করতে পারি তা হলো – কিভাবে সরকার চালাতে হবে, সে সম্পর্কে অপর এক দেশকে জ্ঞান দেওয়া।’

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দেশ দু’টির অবিভক্ত অর্থনৈতিক লক্ষ্য এবং সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তবে সিরীয় শরণার্থী বিষয়ক প্রশ্নে অভিবাসন নীতির কথাই উঠে আসে পুরো সংবাদ সম্মেলন জুড়ে।

বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘একটি বৃহৎ, সুন্দর, খোলা দরজা’ প্রত্যাশা করেন। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও মন্দ লোককে ভেতরে আসতে দিতে পারি না।’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে পরবর্তী চারমাসের জন্য সব ধরনের শরণার্থী কার্যক্রম বন্ধ করেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের (ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন) নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে সিয়াটলের এক বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও বৃহস্পতিবার সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন।

আপিল আদালতের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে সুপ্রিম কোর্টে না গিয়েও ট্রাম্প নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সবসময়ই ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে একে-অপরের পাশে থেকেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘কখনও আমরা একে-অপরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছি। তবে সবসময়ই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই আমরা তা করেছি।’

উল্লেখ্য, কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী ৪০ হাজার শরণার্থী গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে আগেই বিশ্বব্যাপী খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার দেশ নিপীড়ন ও যুদ্ধ কবলিত মানুষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/