সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, যেখান থেকে আরব বসন্তের শুরু হয়েছিল, সেই দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এমন ‘নিষ্ঠুর কৌশল’ হুমকিস্বরূপ।
ওই প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে নিপীড়নের ২৩টি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। যেখানে তিউনিশিয়ার পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড এবং জঙ্গিবাদ-বিরোধী বাহিনী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
২০১১ সালে তিউশিয়ায় ব্যাপক আন্দোলনে পট-পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হামলায় অন্তত ১০০ সেনা সদস্য, ২০ বেসামরিক এবং ৫৯ বিদেশি পর্যটক নিহত হয়েছেন।
এর বিপরীতে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে নিপীড়নের ব্যবস্থা করে দেয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে এক জঙ্গি হামলায় ১২ জন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড নিহতের পর থেকে এখনও ক্রমাগত জরুরি অবস্থা চলছে।
উত্তর আফ্রিকায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর গবেষণা পরিচালক হেবা মোরায়েফ বলেন, জনগণকে মারাত্মক হামলা থেকে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে হবে। তবে আমরা তা তখনই করতে পারব, যখন তিউনিশিয়ার সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মানবাধিকার রক্ষা করা হবে।’
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের জবাবে তিউনিশীয় মানবাধিকারমন্ত্রী মেহেদি বেন ঘারবিয়া দাবি করেছেন, ‘ওই প্রতিবেদনে শুধু ব্যক্তিগত নির্যাতনের তথ্যই উঠে এসেছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কাঠামোগত নির্যাতনের কোনও তথ্য সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।’
সূত্র: আল-জাজিরা।
/এসএ/