ট্রাম্পের সফরবিরোধী সেই পিটিশন প্রত্যাখ্যান করলেন থেরেসা

ট্রাম্প ও থেরেসাযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের বিরোধিতা করে করা একটি পিটিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাজ্য সফরের জন্য ‘পূর্ণ সৌজন্য দেখানো উচিত’।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর তাতে ট্রাম্প সাড়া দেন বলে জানানো হয়। ট্রাম্পের এ সম্ভাব্য সফর নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর ঠেকাও’ শিরোনামে একটি পিটিশন করা হয়। পিটিশনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত, তবে তাকে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো উচিত নয়। কারণ তা মহামান্য রানির জন্য লজ্জার কারণ হতে পারে।’

ওই পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ১৮ লাখ মানুষ। যখন কোনও পিটিশনে স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা ১ লাখ অতিক্রম করে তখন তা নিয়ে হাউস অব কমন্সে বিতর্ক করার কথা বিবেচনা করা হয়। ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরবিরোধী ওই পিটিশন নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে। বিতর্কের উপযোগী হওয়া ওই ইস্যু নিয়ে অবস্থান জানানোর অধিকার যুক্তরাজ্য সরকারের রয়েছে।

আর তারই অংশ হিসেবে থেরেসা মে-এর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘তারিখ ও আয়োজন চূড়ান্ত হওয়ার পর আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রতীক্ষায় থাকব। পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের অনেকে যে দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন তাতে মহামান্য রানির সরকার স্বীকৃতি দিচ্ছে, কিন্তু এ পিটিশনকে সমর্থন করছে না।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় মহামান্য রানির পক্ষে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়। ওই আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে, রাষ্ট্রীয় সফরের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।’

এ বছরের আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের দিকে ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের আভাস মেলার পর থেকেই ইস্যুটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও প্রতিবাদ চলছে। এমনকি হাউস অব কমন্স স্পিকার জন বার্কোও বলেছেন, ট্রাম্পকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য দিতে দেওয়া যাবে না। 

/এফইউ/