পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

কিম জং-নামউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাইকে হত্যার ঘটনায় মালয়েশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ছে পিয়ংইয়ং-এর। এ ঘটনায় পরামর্শ করতে সোমবার পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত মালয়েশীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে কুয়ালালামপুর। এছাড়া মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের এ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে দেশটিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে গত সপ্তাহে রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর মারা যান কিম জং-নাম। বিমানবন্দরে তাকে উত্তর কোরিয়ার গুপ্তঘাতকরা তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে সন্দেহ করছে মালয়েশিয়ার পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দেশটিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত কাং চোল। মূলত ওই সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে তাকে তলব করেছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকারকে কিছু বিষয় ছাপিয়ে যেতে হবে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মালয়েশিয়ার পুলিশ এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এখন সন্দেহভাজন চার উত্তর কোরীয় নাগরিককে খুঁজছে পুলিশ। তবে এই সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মালয়েশিয়া থেকে পালিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ময়নাতদন্ত ও ডিএনএন পরীক্ষা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার কাছে  নিহত কিম জং-নামের লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মালয়েশিয়া। মূলত এ অস্বীকৃতির ঘটনায়  দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম ইল সুং তার বড় ছেলে এই কিম জং নামকে পাশ কাটিয়ে পরবর্তী নেতা মনোনীত করেছিলেন ছোট ছেলে কিম জং আনকে। এরপর থেকে কিম জং নাম পরিবার থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিলেন এবং ম্যাকাও, চীন ও সিঙ্গাপুরে থাকতেন।  তিনি এর পর উত্তর কোরিয়ায় তার পরিবারের একক শাসন এবং ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বের যোগ্যতার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, তবে তিনি নিজে নেতা হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি। সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/