উল্লেখ্য, বিভক্তির সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ভাগ করার মন্ত্রণা নিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে প্রথমবারের মতো জাতিবিদ্বেষের বলি হয়েছেন একজন ভারতীয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেইলি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এক মার্কিনি ‘আমাদের দেশ থেকে বের হও’ বলে চিৎকার করতে করতে নিহত ভারতীয় অভিবাসীসহ আরও দুই জনের ওপর গুলি চালায়। এতে এক ভারতীয় নিহত হন। আহত হন আরও ২ জন। পুলিশ এই ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য জাতিবিদ্বেষী অপরাধ’ বলেই অভিহিত করেছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন ওই ঘটনায় তিনি তীব্রভাবে মর্মাহত। শ্রীনিবাসের শোকাগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।
স্থানীয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতীয়দের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগে অভিযুক্তকে ‘আমাদের দেশ থেকে বেরোও’ বলে চিত্কার করতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গুলি চালানোর পর সে মিসৌরির ক্নিন্টনে গা-ঢাকা দিয়েছিল। সেখানে পুরিনটন এক খাবারের দোকানের কর্মীকে বলে, সে দুজন মধ্য-প্রাচ্যের লোককে মেরেছে।
বুধবার রাতে ওই গুলি চালানোর ঘটনায় নিহত ভারতীয় ৩২ বছরের শ্রীনিবাস ওলাঠে-র জার্মিন হেডকোয়ার্টারে কাজ করতেন তিনি। আহত দুইজনের মধ্যে একজন ভারতীয়ও রয়েছেন। তিনি শ্রীনিবাসের সহকর্মী অলোক মাদাসানি। স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিত্সা চলছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম ইয়ান গ্রিলোট।
ভারতীয়দের ওপর এই হামলার পরই তত্পর হয়ে ওঠে ভারতীয় দূতাবাস। আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাউস্টন কনসুলেটের দুই আধিকারিককে কানসাসে পাঠানো হয়। জার্মিন জানিয়েছে, শ্রীনিবাস, অলোক সংস্থার অ্যাভিয়েশন সিস্টেমে কাজ করতেন। গত বুধবারের ঘটনায় সংস্থার পক্ষ থেকে গভীর শোক ও মর্মবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
/বিএ/