যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যাচ্ছে ইরাকের নাম!

 

donald-trump-afp_650x400_51488341114

যুক্তরাষ্ট্রে সাত মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের উপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যেতে পারে ইরাকের নাম। মঙ্গলবার এক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এমনটাই দাবি করে বার্তা সংস্থা এএফপি। পেন্টাগন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চাপের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে চার মার্কিন কর্মকর্তা।

তারা হোয়াইট হাউসকে জানায়, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইরাকের নিষেধাজ্ঞা থাকাটা খুবই জরুরি।

ট্রাম্পের আগের নির্বাহী আদেশ আদালত স্থগিত করে দেয়। এজন্য বুধবার নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। শোনা যাচ্ছে সেখান থেকেই বাদ যেতে পারে ইরাকের নাম।

গত সপ্তাহে ফেডারেল আদোলতের স্থগিতাদেশকে আবারও খারাপ সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘যে সিদ্ধান্তকে আমি খারাপ সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেছি তার বিপরীতে নতুন আদেশটি অনেক নিখুঁত হবে।

সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ওপর ৩ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জেমস রবার্ট। সিয়াটলের আদালতে দেওয়া তার ওই স্থগিতাদেশের পর সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক নাইনথ ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলস-এর শরণাপন্ন হয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেখানেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ বহাল থাকে। এরপর ট্রাম্প এক টুইটে বলেছিলেন, আদালতে দেখা হবে। আর তাতে গুঞ্জন উঠেছিল যে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা তখন আভাস দেন যে সেখানেও রায়কে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে কঠিন হবে। নিষেধাজ্ঞার যুক্তির পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না থাকা, বিচারপতিদের মধ্যে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা, নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সাংবিধানিক অবমাননার প্রশ্নগুলো ট্রাম্পের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এরপর সম্প্রতি ফ্লোরিডা যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন নির্বাহী আদেশ জারির ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানান, আগামী সপ্তাহেই তিনি নতুন করে একটি নির্বাহী আদেশ দেবেন।

/এমএইচ