আরএসএস-এর সদর দফতর যে নাগপুরে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টিও সেখানেই অবস্থিত। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ডিএসসি উপাধি দেওয়া হবে মোহন ভগবতকে।
সংগঠনগতভাবে আরএসএস গো-রক্ষা কার্যক্রমে নিবিড়ভাবে যুক্ত। কিন্তু তার জন্যই কি সংঘ প্রধানকে এই সম্মান প্রদান?
প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ এস বান্নালিকা’র বলেন, "তার নামটা সর্বসম্মতভাবে পাস করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল...তিনি দেশীয় গো-প্রজাতিগুলিকে সংরক্ষণের জন্য যে অবদান রেখেছেন বা যেসব কাজ করেন, তার জন্যই এই সম্মান জানাচ্ছি আমরা।"
নাগপুরের কাছেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গো-খামার রয়েছে; যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ভগবত।
ড. বান্নালিকা জানান, দেশীয় গো-প্রজাতির সংরক্ষণ ছাড়াও ওই খামারে গো-মূত্র ও গোবরের উপযোগিতা নিয়ে নানা গবেষণা হয়।
ভারতে গো-রক্ষার নামে আরএসএস’সহ কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর বাড়াবাড়ি সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। গো-রক্ষার নামে মাঝে মধ্যেই বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এমপি/