আবারও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে বাধার মুখে মোহাম্মদ আলীর ছেলে

4500 (1)

আবারও বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়লেন কিংবদন্তী বক্সার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শুক্রবার ওয়াশিংটনের এক বিমানবন্দরে তাকে আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারিও ফ্লোরিডার একটি বিমানবন্দরে মা-সহ তাকে আটকানো হয়েছিল। মুসলিম ও আরবি ঘরানার নামের কারণেই বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের চোখে তারা সন্দেহভাজন হয়ে যান।

অ্যাটর্নি ক্রিস মানসিচি বলেন, শুক্রবার জেটব্লু এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তার ফ্লোরিডা যাওয়ার কথা ছিলো। সেখানে তাকে কোনও কারণ ছাড়াই ২০ মিনিট আটকে রাখা হয়।

এরপর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন আলী। নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট দেখানোর পর ছাড়া হয় তাকে। এছাড়া তার অলঙ্কারের কারণে চেকপয়েন্ট স্ক্যানারে অ্যালার্ম বেজে উঠে।

ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশন এর এক মুখপাত্র বলেন, আলীর পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়।

আগের ঘটনাটি ঘটেছে ৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন প্রয়াত হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রী খালিলাহ কামাচো আলী ও ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়রকে ফ্লোরিডার ফোর্ড লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেনস্তার মুখে পড়েন। শুক্রবার একই বিমানে ছিলেন ফ্লোরিডার ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান ডেবি ওয়াসারম্যান। তিনি একটি ছবি টুইট করে বলেন, ‘আলীর পরিবারকে আবারও আটকানো হলো।’

আলীর স্ত্রী এবং সন্তান দুজনের জন্মই যুক্তরাষ্ট্রে। বিভিন্ন সাক্ষাতকারে তারা দাবি করেন, শুধুমাত্র তারা মুসলিম ও তাদের আরবি নামের কারণেই হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তারা। কেননা, মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী এমন একটি বদ্ধমূল ধারণা থেকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে বিশেষ করে বিমানবন্দরে প্রায়ই মুসলিমদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সন্দেহভাজনদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

/এমএইচ/এফইউ/