উল্লেখ্য, চার বছর আগে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসা শি জিনপিং প্রথম থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ বাড়তে থাকায়, তা দেশটির ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগে কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকারের বেশ কয়েকজন ক্ষমতাবান ও ধনী ব্যক্তির কারাদণ্ড হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রধান ঝৌ ইয়ংকাংও রয়েছেন।
দেশটির পার্লামেন্ট চীনা ন্যাশনাল কংগ্রেসে প্রকাশিত এক বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রধান বিচারপতি ঝৌ কিয়াং জানান, ২০১৬ সালে প্রায় ৪৫ হাজার দুর্নীতির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, যেখানে এসব দুর্নীতিতে ৬৩ হাজার মানুষের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় কতজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, বা কতজনের কারাদণ্ড হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চাও জিয়ানমিং জানান, তাদের দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ দুর্বল হয়ে পড়বে না। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান থেকে আমরা সরে আসব না।’
২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে দুর্নীতির নথিভুক্ত অভিযোগ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৫ সালে চীনে জাতীয় নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানো, জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রভৃতি অভিযোগে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ।
সূত্র: রয়টার্স।
/এসএ/