বরখাস্তের আগে ভারারাকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প-ভারারাবরখাস্ত হওয়া মার্কিন অ্যাটর্নি প্রীত ভারারার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রীতকে ফোনও করেছিলেন। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তার সঙ্গে কথা হয়নি ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শনিবার নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি প্রীত ভারারাকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হোয়াউসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রভাবশালী এই অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার আগে তাকে টেলিফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রীতকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাতেই ফোন করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্পের ফোন রিসিভ করেননি ভারারা। তার দাবি, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা না বলে প্রেসিডেন্টের ফোন রিসিভ করতে চাননি তিনি।

শনিবার এক টুইটার বার্তায় প্রীত বলেছিলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। আর কিছুক্ষণ আগে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

শুক্রবার বিচার বিভাগ থেকে পূর্ববর্তী ওবামা প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নিদের একটি তালিকা দিয়ে ওই অ্যাটর্নিদের পদত্যাগ করতে বলা হয়। সেখানে প্রীতের নামও যুক্ত থাকায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। কারণ গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের পরও তাকে ওই পদে বহাল থাকার কথা বলেছিল ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দু’দলের কংগ্রেস সদস্যদের কাছেই ওই মার্কিন অ্যাটর্নির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

শনিবার প্রীতকে পদত্যাগ করতে বলার পরও তাতে রাজি না হওয়ায় তার পক্ষ নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা ব্রায়ান কলব টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘প্রীত ভালো কাজ করেছেন। যে কাজের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সে কাজটাই করছেন।’ 

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি হিসেবে আপাতত অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করছে করছেন ভারারর ডেপুটি জুন কিম।

সূত্র: রয়টার্স।

/এমএইচ/এসএ/