কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস অর্থাৎ সিবিও-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিলটি আইনে পরিণত হলে ১০ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ঘাটতি ৩৩৭ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনা হতে পারে। আর ২০১৬ সাল নাগাদ ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ ইন্সুরেন্সশূন্য হয়ে পড়বে। রিপাবলিকানদের দাবি, খরচ কমাতে এ বিলটি চালু করা হচ্ছে।
এদিকে সিবিওর প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরই রিপাবলিকান বিলটির বিবেচনা স্থগিত করে হাউস বাজেট কমিটি। বুধবার এ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হয়। সিবিওর প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে রিপাবলিকানরা হাউসে ওই বিলে শিগগিরই ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল এবং সেখানে তা অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। পরে তা সিনেটে পাঠানোর কথা। সিনেটে এ বিলের পরিণতি কী হতে পারে তা এখনও ধারণা করা যাচ্ছে না।
ওবামার স্বাস্থ্যনীতি ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। এর মূলে ছিল সবার জন্য স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিত করা। ট্যাক্স ক্রেডিট দিয়ে পছন্দমতো কোম্পানির বীমা গ্রহণের সুযোগও সেখানে রাখা হয়।
আর ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতিকে ‘আমেরিকান হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট’ নাম দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় স্বাস্থ্যসেবায় কেন্দ্রীয় অর্থায়ন সীমিত করা হবে। সবাইকে এই প্রকল্পে যুক্ত হতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা থাকছে না। ভর্তুকির বদলে ট্যাক্স ক্রেডিটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের এই স্বাস্থ্যনীতি কংগ্রেসের দুই কক্ষ সিনেট ও হাউসের সমর্থনের পরই আইনে পরিণত হবে। ‘ওবামাকেয়ার’ ওবামার নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করা হলেও তা কংগ্রেসের সমর্থন পায়নি।
/এফইউ/