ট্রাম্পের প্রথম বাজেটে সামরিকতার জয়

ডোনাল্ড ট্রাম্পমার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বাজেটে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাদ্দ কমছে পরিবেশ আর বৈদেশিক সাহায্যের মতো খাতগুলোতে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বাজেট ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাড়াতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগের বছরের তুলনায় এটা ১০ শতাংশ বেশি।

২২ মার্চ ২০১৭ তারিখে নতুন বাজেট পেশ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বিল মরনিও। এর আকার দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এটাই হবে ট্রাম্প জামানার প্রথম বাজেট। সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর জন্য অন্য বহু সেক্টরে ব্যয় কমাতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে মোটা অঙ্কের বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সড়ক, ব্রিজ, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

২০১৮ অর্থবছরের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হবে চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে। তবে এর আগে কংগ্রেসে বাজেট আলোচনায় চাপের মুখে পড়তে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। বিশেষ করে সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যয় সংকোচনে ট্রাম্প প্রশাসনকে আইনপ্রণেতাদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে।

সামরিক ব্যয় বাড়াতে বিভিন্ন খাতে ৯ থেকে ২৯ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে স্বতন্ত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার বাজেট সংকোচনের কথা বলা হয়েছে। এই বাজেট সংকোচনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা যাবে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার ব্যয় ৩১ শতাংশেরও বেশি কমাতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। সংস্থাটির বাজেট ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার করার কথা বলেছেন তিনি। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যয় ২৮ শতাংশ কমিয়ে ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ এবং কৃষি খাতে প্রায় ২০ শতাংশ করে ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/