কমনওয়েলথে বাংলাদেশের পাশে ভারত

বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকাকমনওয়েলথে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। সংস্থাটির অ্যাকশন এজেন্ডায় বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সে চেষ্টা নিবৃত্ত করেছে ভারত।

শুক্রবার লন্ডনে কমনওয়েলথ মিনিস্টেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপ (সিএমএজি)-এর বৈঠকে ভারতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার নাজমুল কাউনাইন। তিনি পাকিস্তানের এ উদ্যোগের বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেন।

ওই বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, একদিক থেকে এটা একটা বিশাল বিজয়। আমাদের পশ্চিমের (পাকিস্তান) বন্ধু কর্তৃক এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কাঠগড়ায় তোলার একটা প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু ভারত একে আর বাড়তে দেয়নি।

ভারতের দিক থেকে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদী চরমপন্থার বিরুদ্ধে জোর দেওয়া হয়। দেশটি বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দিয়ে যাওয়া কমনওয়েলথ সদস্যপদের ক্ষেত্রে অযোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে। স্পষ্টতই এর নিশানা ছিল পাকিস্তানের দিকে।

বর্তমানে আটটি বিষয়ে সদস্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কমনওয়েলথ। এরমধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন এবং সুশাসনের অভাবের মতো বিষয়ও রয়েছে। এখন সদস্য দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনকে এক্ষেত্রে নবম মানদণ্ড হিসেবে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

এ বিষয়ে আগেই ঐকমত্য হয়েছে, মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অবশ্যই এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখা উচিত। মালদ্বীপ অবশ্য পরে কমনওয়েলথ ত্যাগ করে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অধোগতি এবং দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কমনওয়েলথের সমালোচনা ও অব্যাহত চাপের মুখে ২০১৬ সালে সংস্থাটি ত্যাগ করে ভারত মহাসাগরের এ দ্বীপ রাষ্ট্রটি। তবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো এ অঞ্চলে আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে একমত হয়।

৫২ জাতির কমনওয়েলথের মন্ত্রীরা নিয়মিতভাবে কমনওয়েলথ মিনিস্টেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেন। সদস্য দেশগুলোর কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং অ্যাকশন পয়েন্ট নির্ধারণে আলোচনা করেন তারা।

/এমপি/