দলীয় নেতৃত্ব হারালেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম

মামুন আবদুল গাইয়ুমমালদ্বীপের ক্ষমতাসীন দল থেকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম’কে দলের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় থাকা সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের দায়ে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে নির্বাসিত বিরোধী নেতা মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে জোট বাঁধার অভিযোগ ছিল। এছাড়া পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটির জন্য সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করা নিয়েও দলের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার দিনশেষে দলের  নেতৃত্ব থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ (পিপিএম)। সোমবার এক ভোটাভুটিতে এ সিদ্ধান্ত নেন দলটির নেতারা।

প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ-এর নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার সৎভাই মামুন আবদুল গাইয়ুম দলটির নামমাত্র প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপের (পিপিএম) একজন কর্মকর্তা বলেন, গাইয়ুমের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রতি সহানুভুতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত আদর্শ সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

এর আগে সোমবার বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে পার্লামেন্টের স্পিকারকে অভিশংসিত করতে পিপিএমের আইনপ্রণেতাদের আহ্বান জানান মামুন আবদুল গাইয়ুম। এ পদক্ষেপকে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন-এর ক্ষমতাকে খাটো করার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মদ নাশিদ আশা করেছিলেন, মামুন আবদুল গাইয়ুমের সঙ্গে আকস্মিক এ জোটের কারণে স্পিকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে পার্লামেন্টের চিত্র ছিল ভিন্ন।

মালদ্বীপের তিন দশকের শাসক মামুন গাইয়ুম বতর্মানে ভারতে ছুটি কাটাচ্ছেন। তাই দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে তার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মালদ্বীপে প্রথম ২০০৮ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নাশিদ। তিনি ২০১৫ সালে সন্ত্রাসের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। বর্তমানে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন মোহাম্মদ নাশিদ। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন। সূত্র: মালদ্বীপ ইন্ডিপেনডেন্ট।

/এমপি/