ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে শুরু হলো ব্রেক্সিটের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া

চিঠিতে স্বাক্ষর করছেন থেরেসা মেইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) উদ্দেশ্য করে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করে ব্রেক্সিটের অনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার ওই চিঠি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ অনুসারে ইইউ কর্মকর্তাদের চিঠি দিচ্ছে ব্রিটেন। থেরেসা মে স্বাক্ষরিত চিঠিটি হস্তান্তর করবেন ইইউ-তে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত টিম বারো। এর পরই শুরু হবে এই বিচ্ছেদের দুই বছরব্যাপী আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ও আলোচনা।

বুধবার দুপুরে থেরেসা মে মন্ত্রীসভার বৈঠকে পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি দেবেন, যেখানে তিনি তাদের অবহিত করবেন যে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের সময় গণনা শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি আলোচনার সময় যুক্তরাজ্যের প্রতিটা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন, যাদের মধ্যে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকরাও রয়েছেন। ব্রেক্সিটের ফলে তাদের ভাগ্যে কী হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত।

গতবছরের জুনে এক গণভোটে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় ব্রিটিশ নাগরিকরা।

থেরেসা মে তার বক্তব্যে ব্রেক্সিট ঘিরে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের বিষয়েও কথা বলবেন।

এদিকে, বিরোধী দল লেবারের নেতা, জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার দল সম্মান করে, তবে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকেই তারা নজর রাখবে।

আর্টিকেল ৫০ দুই পক্ষকেই একটি চুক্তিতে পৌছানোর জন্য দুই বছর সময় দেবে। যদি দুই পক্ষই আলোচনার মেয়াদ বাড়াতে সম্মত না হয়, তবে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/