বরিস জনসন বলেন, যে ভয়ঙ্কর রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটা উপেক্ষা করা আমাদের জন্য অসম্ভব।
৪ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল ইদলিবে এ রাসায়নিক গ্যাস হামলা সংঘটিত হয়। ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারি বাহিনী ও রাশিয়াকে দায়ী করেছে। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয়া ও রাশিয়া।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইদলিব। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আসাদ বাহিনী আলেপ্পো শহর ও দামেস্কের আশেপাশের এলাকা দখল করে নিলে হাজার হাজার বিদ্রোহী যোদ্ধা ইদলিবে আশ্রয় নেয়। আর সে কারণে ইদলিবের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে। হামলার পর ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আক্রান্তরা শ্বাস নিতে পারছেন না, মুর্ছা যাচ্ছেন এবং তাদের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আক্রান্তরা যখন চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তখনও সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়। কয়েকজন আক্রান্তকে তুরস্কে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসারত এক নারী জানিয়েছেন, ‘আমরা বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছি। আমরা দাঁড়াতেও পারছি না। আমার মাথা ঘোরাচ্ছে, দুর্বল লাগছে। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস নিতে পারছি না।’
মেডিক্যাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, হামলার কারণে অনেকের শ্বাসরুদ্ধ হয়, কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, কারও কারও আবার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে আসে। ওই মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, এটি রাসায়নিক গ্যাস হামলা ছিল বলে আলামত মিলেছে।
/এমপি/