সিরিয়ায় ‘রাসায়নিক হামলা লুকানোর জন্য’ রাশিয়াকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প-পুতিনমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিরিয়ায় সন্দেহভাজন রাসায়নিক গ্যাস হামলা লুকানোর অভিযোগ করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এমন এক সময়ে এ অভিযোগ তোলা হলো, যখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি রুশ সমর্থনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর বক্তব্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, ৪ এপ্রিল বিদ্রোহীদের দমন করতে ইদলিবে সারিন গ্যাস হামলা চালায় সিরিয়ার আসাদ সরকার। এতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হন।

ওই কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, ‘রাশিয়া বারবার সিরীয় সরকারের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিপরীতে বিতর্কিত বক্তব্য তুলে ধরে। সর্বশেষ খান শেইখুনে রাসায়নিক হামলার পরও তারা এ কাজটাই করেছে।’
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, সেখানে যা হয়েছে, রাশিয়া তা লুকিয়ে রাখতে চায়।’  
উল্লেখ্য, মার্কিন ও পশ্চিমা দেশগুলো যখন আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগ তুলছে, তখন রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বিদ্রোহীরাই বিষাক্ত রাসায়নিক মজুদ করে রেখেছিল। আর আসাদের অনুগত বাহিনী বিমান হামলা চালানোর পর ওই রাসায়নিক থেকে বিষক্রিয়া ছড়ায়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যে, তারা না জেনে সিরিয়ায় যা হয়েছে, তার পরেও আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, ওই সইন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলার অভিযোগে গত শুক্রবার সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

/এসএ/বিএ/