স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে হোয়াইট হাউসের ফুটপাত

nonameজনসাধারণের জন্য স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক দফতর হোয়াইট হাউসের ফুটপাত। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত থেকে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ পাশের বেষ্টনী সংলগ্ন ফুটপাতে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

এর আগে ২০১৫ সালে রাতের বেলায় এ ফুটপাতটি বন্ধ রাখার নিয়ম চালু করা হয়। তখন থেকে এতোদিন পর্যন্ত রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা এটি বন্ধ থাকতো। তবে নতুন নিয়মে এখন আর ঘড়ির কাঁটার কোনও বিষয় থাকছে না। দর্শনার্থী বা পথচারীদের জন্য এটি ২৪ ঘণ্টাই বন্ধ থাকবে।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর ক্যাথি মিলহোয়ান বলেন, হোয়াইট হাউসে অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা হ্রাসকল্পে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১০ মার্চ এক তরুণ হোয়াইট হাউসে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, অনুপ্রবেশের দায়ে আটককৃত ওই তরুণ লাফিয়ে লাফিয়ে তিনটি নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়েছিল। হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র কয়েক কদম দূরে ছিলেন তিনি। আর সেখানেই ১৬ মিনিট ধরে অবস্থান করেছেন জোনাথন ট্রান নামের ওই তরুণ।

ওই তরুণ হোয়াইট হাউসের দক্ষিণের সীমানা প্রাচীর অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তার পিঠে একটি ব্যাগ ছিল। তবে ওই ব্যাগে কোনও অস্ত্র বা সন্দেহজনক বস্তু ছিল না বলে সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে। মূল ভবন থেকে অল্প কিছু দূরে থাকতেই তাকে আটক করা হয়। সে সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসেই ছিলেন। ওই ঘটনার পর প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিক্রেট সার্ভিসের প্রশংসা করেন।

সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, গোয়েন্দারা হোয়াইট হাউসে তল্লাশি চালিয়েছে, তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১০ মার্চের ওই ঘটনা নিয়ে তারা প্রচণ্ড হতাশ ও ক্ষুব্ধ। ভবিষ্যতে যেন কোনও নিরাপত্তাজনিত ফাঁকফোঁকর না থাকে সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনা নিয়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন জোনাথন ট্রান ইউএস ট্রেজারি বিভাগের কাছের ৫ ফুট উচ্চতার নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হন। এরপর ৮ ফুট উচ্চতার একটি গেউট পার হন। এরপর হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি আরেকটি বেষ্টনী পার হন।

এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট হাউসে অনুপ্রবেশের ঘটনা সামনে এসেছে। আর অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে ওমর গনজালেস নামে ৪২ বছর বয়সী এক অনুপ্রবেশকারী ছুরিসহ হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়ে। হোয়াইট হাউসের দরজায় ঢুকে পড়ার পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিক্রেট সার্ভিস। সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/