অটোমেশনের প্রভাব মোকাবিলার তাগিদ দিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমঅটোমেশনে শ্রমঘন গার্মেন্ট খাত আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হাইতির টি-শার্টে থ্রি-ডি প্রিন্টের উদাহরণ টেনে কিম বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিচ্ছি। দুই-তিন বছর আগেও আমদের মধ্যে বিতর্ক ছিল, গার্মেন্ট খাতে থ্রি-ডি প্রিন্ট ব্যবহার করা হবে কিনা। কারণ গার্মেন্ট খাতে উৎপাদন ও সমন্বয়ের বিষয়টি মজুরির ওপর ভিত্তি করে একেক দেশে একেক রকম হয়ে থাকে। হাইতির এক নারী আমাকে জানিয়েছেন কিভাবে তারা থ্রি-ডি প্রিন্টারে সূতি কাপড়ের টি-শার্ট উৎপাদন করছেন। তবে আমরা জানি, সেখানে থ্রি-ডি প্রিন্টারের ব্যবহার আকর্ষণীয় হলেও, তার আগেরটা দিক হলো সেখানে কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে।’

হাইতিতে অটোমেশনের ফলে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে, অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। অটোমেশনের ফলে বাংলাদেশের মতো রফতানি-নির্ভর গার্মেন্ট খাতেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অটোমেশনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকার তাগিদ দিয়েছেন জিম ইয়ং কিম। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের অর্থনীতিকে কিভাবে মানিয়ে নিতে হবে, সে সম্পর্কে প্রতিটি দেশকেই ভাবতে হবে। যখন আমরা বলছি, অটোমেশনের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে, তখন আমরা কিন্তু সেই সময়কালটাকে নিশ্চিত করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই-তিন বছর আগে যা নিয়ে আমরা বিতর্ক করেছি, এখন হাইতিতে তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাই বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই এ বিষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে, বুঝতে হবে ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে কোন ধরনের বিনিয়োগ জরুরি।’

উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করাটাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে কিম উল্লেখ করেন।

/এসএ/টিএন/