অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: জেফ সেশনস

অ্যাসাঞ্জবিশ্বব্যাপী আলোচিত গণমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ‘গ্রেফতারকে’ যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানালেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস। অ্যাসাঞ্জ প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নানা বিতর্কের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এ কথা জানান তিনি। মার্কিন কর্তৃপক্ষ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মাথায় এমন ঘোষণা দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বৃহস্পতিবার টেক্সাসের এল পাসোতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন জেফ সেশনস। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাসাঞ্জকে চূড়ান্তভাবে গ্রেফতারকে মার্কিন বিচার বিভাগ প্রাধান্য দিচ্ছে কিনা। জবাবে সেসশনস বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রচেষ্টা জোরালো করতে যাচ্ছি এবং এরইমধ্যে সবগুলো ফাঁসের ঘটনায় আমরা পদক্ষেপ জোরালো করেছি। এটি এমন একটি ব্যাপার যা আমার জানাকেও ছাপিয়ে গেছে। অনেক বছর ধরেই আমরা যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করছি, তারা এ ধরনের ফাঁসের ঘটনায় হতবাক হয়েছি। এগুলোর কিছু কিছু খুব মারাত্মক। সুতরাং হ্যাঁ, এটি আমাদের প্রাধান্য। এরইমধ্যে আমরা প্রচেষ্টা জোরালো করেছি এবং মামলা করা গেলে আমরা কতিপয় ব্যক্তিকে জেলে ঢোকাতে পারব।’

এর কয়েক ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছিল, প্রধম সংশোধনীর আওতায় বিদ্যমান বিচার প্রক্রিয়া থেকে অ্যাসাঞ্জকে রেহাই দেওয়া হবে কিনা সে প্রশ্নে প্রসিকিউটরদের মধ্যে বিতর্ক চলছি। অনেক বিতর্কের পর তারা পথ খুঁজে পেয়েছেন বলেও আভাস দিয়েছিল সিএনএন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর গোপন তথ্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আধিপত্যবাদবিরোধী মানুষদের প্রতীকি কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। একটি ধর্ষণ মামলা দিয়ে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। মূলত ২০১০ সাল থেকেই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

/এফইউ/