আসাদের কাছে ‘সন্দেহাতীতভাবেই’ রাসায়নিক অস্ত্র আছে: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আভিগদর লিবারম্যানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেমস ম্যাটিসমার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের দাবি, ‘সন্দেহাতীতভাবেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে।’ তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের দাবি, ৩ এপ্রিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী খান শেইখুনে বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালায়। এতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। পরে এই রাসায়নিক হামলার অভিযোগে ৭ এপ্রিল সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ম্যাটিস ওই হামলার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সিরিয়া যে আর রাসায়নিক হামলা না চালায়, সেজন্য কড়া ভাষায় বোঝানো হয়েছে।’

তবে আসাদ সরকারের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা পশ্চিমাদের এসব অভিযোগ ‘শতভাগ সাজানো’।

সিরিয়া ২০১৩ সালের চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং এখনও তাদের হাতে রাসায়নিক অস্ত্রের নজুদ রয়েছে বলে ম্যাটিস দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, এখনও সিরিয়ার কাছে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। যা ওই চুক্তি ও তার বিবৃতির লঙ্ঘন। যেখানে বলা হয়েছিল, তারা সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে।’

/এসএ/