ছয় বছর আগে ওই এলাকায় ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর এখনও সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগটি তোহোকুতে আঘাত হানায় ভালই হয়েছে। যদি এটি রাজধানীতে আঘাত হানতো তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেত।’
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের উত্তরপূর্ব উপকূলে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ও এর প্রভাবে বিরাট সুনামি আঘাত হানে। এতে অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন।
পদত্যাগের পর নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাশাহিরো ইমামুরা। তিনি বলেন, আমার কথায় তোহোকুর বাসিন্দারা কষ্ট পেয়েছেন। আমি তাদের অনুভূতিতে আঘাত করেছি। ওই মন্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
যে রাজনৈতিক সমাবেশে মাসাহিরো ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে মাশাহিরোর মন্তব্যের পরপরই আবে এ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন, মাশাহিরোর কথাগুলো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই বেমানান ও অনুপযুক্ত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সেখানকার মানুষের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’
শিনজো আবে জানান, তিনি ফুকুশিমার বাসিন্দা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাশাইয়োশি ইয়োশিনোকে মাশাহিরোর স্থলাভিষিক্ত করবেন।
এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে মাশাহিরো বলেন, সরকার ফুকুশিমার অনেক এলাকাকে বসবাসের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করেছে। এসব এলাকার যেসব বাসিন্দা এখনও ফিরে আসেননি, তাদের এই অবস্থার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। সূত্র: বিবিসি, দ্য স্টার।
/এমপি/