ফিলিস্তিনি বন্দিদের সমর্থনে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি

Sit-in at European Parliament in support Of Palestinian hunger strikersইসরায়েলের কারাগারে অনশনরত দেড় হাজার ফিলিস্তিনি রাজবন্দির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একদল সদস্য। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বন্দিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তারা ব্রাসেলসের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাইরে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিনিধিদলের প্রধান নিওক্লিস সাইলিকিওটিস এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।

অবস্থান কর্মসূচিতে সুইডেন, গ্রিস, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও পর্তুগালের অনেক এমপি অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আইরিশ রাজনীতিক মার্টিনা অ্যান্ডারসন’ও উপস্থিত ছিলেন। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ অবস্থান কর্মসূচির একাধিক ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান বেলজিয়ামে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রতিনিধি আদেল আতিয়েহ।

এর আগে চলতি মাসেই ফিলিস্তিনি বন্দিদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির পাঁচ শিক্ষার্থী। তারা ইসরায়েলকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে গণঅনশন শুরু করেছেন ইসরায়েলের কারাগারে থাকা এক হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি রাজবন্দী। কারাগারে মৌলিক অধিকার আদায় এবং বিদ্যমান মানবেতর পরিস্থিতি উন্নয়নের দাবিতে তারা এই অনশন শুরু করেন।

বন্দিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির এই পাঁচ শিক্ষার্থী বলেন, ‘ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে ওই বন্দিদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

ওই শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হুদা আমোরি। বার্তা সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটরকে তিনি জানান, তারা চান ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহায়তাকারী কোম্পানিগুলোকে যেন ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বর্জন করে।

মিডল ইস্ট মনিটরের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তথ্যের স্বাধীনতা (এফওআই) অধিকারবলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিভিন্ন কোম্পানির নামের যে তালিকা চেয়েছে তা স্বাভাবিক গতিতেই প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হুদা আমোরি জানান, তথ্য চেয়ে তাদের করা আবেদনটি বিবেচনা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরং ইসরায়েলকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলোকে বর্জনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে চিকিৎসার অভাবে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। অনেক বন্দি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভোগেন। কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও বন্দিদের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয়। বস্তা নামের একটি কালো গাড়িতে তাদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দিরা বলছেন, ওই গাড়িতে তাদের অন্ধকারে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

/এমপি/