‘বন্দুকভক্ত’ দুয়ার্তেকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প

ট্রাম্প-দুয়ার্তেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিপাইনের ‘বন্দুকভক্ত’ প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তেকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শনিবার টেলিফোনে দুই নেতার কথোপকথনে উত্তর কোরিয়া নিয়েও আলোচনা হয় বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নভেম্বরে দু’টি সম্মেলনে যোগ দিতে এশিয়া সফরে যাবেন। তখন তিনি ফিলিপাইন সফর করবেন। কথোপকথনে দুয়ার্তেকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে কবে, কখন দুয়ার্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসবেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি হোয়াইট হাউস।  

দুই নেতার কথপোকথনে উত্তর কোরিয়া সংকটের কথাও উঠে আসে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।

এর আগে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন দুয়ার্তে। তখনও দুয়ার্তেকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।   

উল্লেখ্য, বন্দুকভক্তির জন্য দুয়ার্তের পরিচিতি রয়েছে। গত বছর মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার আগে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের প্রথম ভাষণে দুয়ার্তে জানান, ফিলিপাইনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি এবং গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়ানো ব্যক্তিদের গুলি করার ক্ষমতা দেওয়া হবে নিরাপত্তা বাহিনীকে। ৩০ জুন শপথগ্রহণের পর ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন দুয়ার্তে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুয়ার্তের ওই কথিত ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন প্রায় সাত হাজার মানুষ।

গত নভেম্বরে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার কথাও স্বীকার করেন দুয়ার্তে। তখন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে তিনি জানান, দাভাও শহরের মেয়র থাকাকালে তিনি তিন সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। ওই শহরে দুয়ার্তে ২০ বছর ধরে নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।

/এসএ/