মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বাংলাদেশের ‘জঙ্গিবাদ’ প্রসঙ্গ

সেথ জোন্স (ফাইল ফটো)মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বাংলাদেশের ‘জঙ্গিবাদ’ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দুই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম জোরদার করছে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সেথ জোন্স। বাংলাদেশ ওই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিভৃত আবাস গড়ার সুযোগ দিচ্ছে বলেও শুনানিতে অভিযোগ করেন তিনি। জোন্স মনে করেন, জঙ্গিবাদ বিস্তৃতির এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে বাংলাদেশে আইএস-আল কায়েদার বিস্তৃতির প্রসঙ্গ তোলেন জোন্স। সন্ত্রাসবাদ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ সংক্রান্ত হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপকমিটি ওই শুনানির আয়োজন করে।

কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশে সেথ জোন্স বলেন, ‘আমরা দেখেছি বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আইএস তাদের হামলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম জোরদার করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশের পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশে আল কায়েদার উত্থানও লক্ষ্য করেছি।’

কংগ্রেসম্যান উইলিয়াম কিয়েটিং-এর এক প্রশ্নের জবাবে সেথ জোন্স বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে আমরা প্রায়ই আফগানিস্তানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিই। তবে সমস্যাটি অঞ্চলগত। আমরা এই ইস্যুতে প্রায়শই পাকিস্তানকেও গুরুত্ব দিই। অথচ, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে জিহাদি কর্মকাণ্ড ব্যাপক হারে বেড়েছে।’


ওই উপকমিটির সদস্য ও কংগ্রেসম্যান কিয়েটিং জোন্সের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তৃতির নেপথ্যের কারণটি ভৌগলিক নাকি এটি বর্তমান সরকারের শাসনব্যবস্থার ফলাফল। জবাবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক জোন্স জানান, এটিকে একইসঙ্গে ভৌগোলিক ও কৌশলগত বলে মনে করেন তিনি। জোন্স বলেন, ‘আয়মান আল জাওয়াহিরি যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়েদা প্রতিষ্ঠার ঘোষণার সময়েই সুনির্দিষ্ট করে বাংলাদেশকে এর অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। সুতরাং এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।’

‘বিশ্ব ব্যাংক ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখবেন, বাংলাদেশ একটি দুর্বল রাষ্ট্র। আমি যাদের কথা বললাম (আইএস) বাংলাদেশ সেই ধারার গ্রুপগুলোকে নিভৃত আবাস গড়ে তোলার সুযোগ দিচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশ নিয়ে ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’ বলেন সেথ জোন্স।

/এফইউ/বিএ/