ব্লগার অ্যান্ডি অস্ট্রয় প্রথমেই বিশ্বাসই করতে পারেননি খোদ ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তার পোস্টে ‘ফেভারিট’ রিঅ্যাক্ট করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো একই নামে অন্য কেউ এই রিঅ্যাক্ট করেছে; যে আসল মেলানিয়া নয়। সেই ফেইক মেলানিয়ার কাছ থেকেই হয়তো তিনি নোটিফিকেশন পেয়েছেন। এরপর তিনি ওই নোটিফিকেশনের একটি স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার মনে হয় এটা ফার্স্ট লেডি’র আসল অ্যাকাউন্ট নয়।
স্ক্রিনশট দেওয়া পোস্টটিতে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ফার্স্ট লেডি’র সঙ্গে তার কোনও ধরনের সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছিল কিনা! উত্তরে ব্লগার অ্যান্ডি অস্ট্রয় বলেন, হুম। এখন আমার এটা মনে হচ্ছে।
পোস্টটি করার ৪৫ মিনিট পর তাতে ফেভারিট রিঅ্যাক্ট করেন মেলানিয়া। দৃশ্যত সাহায্য পাওয়ার জন্য তার এ ক্রন্দন বা রিঅ্যাক্ট ছিল ভুল বা দুর্ঘটনাবশত। কিংবা কিছু সময়ের জন্য তিনি আইডি’র নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে থাকতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে প্রথম আশঙ্কাটাই সত্যি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে টুইটারে এই অ্যকাউন্টটি খোলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এটা তার ফেভারিট রিঅ্যাক্ট করা দ্বিতীয় টুইট। আর প্রথম ফেভারিট’টি ছিল মেলানিয়ার নিজের করা একটি পোস্টে। ২০১২ সালের মে মাসে করা ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘হ্যালো টুইটার!
টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য ভুলবশত এমন ফেভারিটেরও অনেক নজির রয়েছে। তবে মেলানিয়ার ফেভারিট’টি আদৌ ভুলবশত নাকি ইচ্ছাকৃত সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এমপি/