‘ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এখনও অনেক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিটের ফলে ইইউ-ভুক্ত দেশগুলোতে রফতানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে এই ক্ষতি এড়াতে যুক্তরাজ্যের হাতে এখনও বিকল্প রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর মাধ্যমে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে ব্রিটিশ সরকার। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘গ্লোবাল ব্রিটেন: প্রায়োরিটিস ফর ট্রেড বিয়ন্ড দ্য ইইউ’। এতে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সমঝোতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত, কানাডা ও ইসরায়েলে যুক্তরাজ্যের পণ্য রফতানির পরিমাণ  ধারাবাহিকভাবেই প্রত্যাশার তুলনায় কম। আমাদের ধারণা, ২০৩০ সাল নাগাদ এই তিন দেশের চেয়ে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ হবে প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড। এই তিন দেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে চীন। এই চার দেশে যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ১৭ বিলিয়ন পাউন্ড অতিক্রম করতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

পণ্য ও সেবার জন্য তুলনামূলক দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে ২০৩০ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ৪১ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, ব্রিটিশ সরকারকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (এফটিএ) অধিক গুরুত্ব না দেওয়াই বরং উত্তম।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়, অপ্রচলিত সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিজ থেকেই সামনে আসবে না। প্রতিটি দেশের অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির পেছনে কিছু জটিল ও স্বতন্ত্র কারণ রয়েছে। এসব দেশে বাণিজ্যের নৈতিক দিক বিবেচনার জন্য সরকারের ওপর জনগণেরও চাপ থাকে। বাংলাদেশ বা উপসাগরীয় অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই ব্রিটিশ সরকার সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

/এমপি/