ভারতে চলন্ত বাসে উঠে স্বামীকে হত্যাচেষ্টা

06দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের বাসিন্দা এক নারী তার স্বামীর পেটে তিনবার গুলি চালিয়েছেন। স্ত্রীর হাত থেকে বাঁচতে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় একটি চলন্ত বাসে উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তার স্ত্রী একটি গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে আবার ধরে ফেলেন তাকে। পরে বাসের যাত্রীরা ওই নারীকে নিরস্ত্র করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্বামী গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শিকার ৫৩ বছরের ওই ব্যক্তির নাম সাই রাম এম আর। স্ত্রীকে নিয়ে তামিলনাডুর হোসুর থেকে ফিরছিলেন নিজেদের গাড়ি চালিয়ে। পথে একটি রেস্তোরাঁয় তারা দুপুরের খাবার খান। পরে দুজন মিলে মদ্যপান করেন।

সাই রাম একটি বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সির মালিক। তার গাড়িতে সবসময়ই একটি পিস্তল রাখা থাকে।

ব্যাঙ্গালোরের ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট এমবি বোরালিঙ্গাইয়া জানান, দুপুরের খাওয়ার সময় থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মেয়ের বিয়ে নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তারপর গাড়িতে ওঠেন দুজনেই। সাই রামের স্ত্রী হামসা রাম গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ঝগড়া চলতেই থাকায় স্ত্রীর গালে একটা ঘুষি মারেন সাই রাম। এক পর্যায়ে গাড়িতে রাখা একটি পিস্তল বের করে স্বামীর পেটে তিনটি গুলি চালান হামসা রাম।

মারমুখী স্ত্রীর হাত থেকে বাঁচতে সাই রাম একটি চলন্ত সরকারি বাসে লাফিয়ে উঠে পড়েন। এবার শুরু হয় নাটকের দ্বিতীয় পর্ব। ওই বাসটিকে নিজের এসইউভি গাড়ি নিয়েই ধাওয়া করেন হামসা রাম। ব্যাঙ্গালোর শহরের বাইরে বাসটি ধরেও ফেলেন তিনি। বাসটি থামিয়ে সেটায় চড়ে আবারও পিস্তল উঁচিয়ে স্বামীকে গুলি করার চেষ্টা করেন। তখন অন্য যাত্রীরা তাকে ধরে ফেলেন।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামসা রাম তাদের জানিয়েছেন যে, স্বামী তাকে মারার পর আত্মরক্ষার্থে তিনি গুলি চালিয়েছেন।

আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন নারী পুলিশ অফিসারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এটাও খতিয়ে দেখছে যে, ওই পিস্তলটির আদৌ লাইসেন্স ছিল কি না! সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এমপি/