ইলেকট্রনিক নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন

বিমানে ল্যাপটপ-ট্যাব নিষিদ্ধযুক্তরাষ্ট্রমুখী বিমান যাত্রীদের ওপর আরোপ করা ইলেকট্রনিক নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেলি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে আট মুসলিম প্রধান দেশের ১০টি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে মোবাইল ফোন ছাড়া প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়।

মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসব বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনও যাত্রী তাদের হাত ব্যাগে ল্যাপটপ, আইপ্যাড, কিন্ডলের মতো ডিভাইস বহন করতে পারেন না। তবে মোবাইল ফোন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ডেভিড লাপান এ নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দিতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন তা আরও বিস্তৃত হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত হলে ইউরোপ এবং অন্যান্য জায়গার বিমানবন্দর আক্রান্ত হবে। 

মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেলি

এয়ারলাইন সুরক্ষাসহ বিমান পরিবহনে ইলেকট্রনিক নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মার্কিন কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন বলে ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।  

গত শুক্রবার জন কেলি ফোনে ইইউভুক্ত দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা এলিন ডিউক ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

গত সপ্তাহে বেসামরিক বিমান পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এদিকে, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলও জানিয়েছেন, সে দেশে আসা কিছু ফ্লাইটে তিনি ইলেকট্রনিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শুধু ইউরোপ থেকেই প্রায় ৩ কোটি যাত্রী বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল।

/এসএ/