ঋণের জালে আটকে গ্রিসে আবারও ব্যয় সংকোচন

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষগ্রিসে ২০১৯-২০২০ সালের পেনসন ব্যবস্থায় কাটছাঁট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আয়কর বাড়ানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের পর কয়েক হাজার মানুষ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এথেন্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

গ্রিস ঋণ পাওয়ার জন্য তাদের শর্তপূরণ করেছে কিনা, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার আলোচনায় বসেন ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা। এবার গ্রিসকে ৭.৫ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

শর্তপূরণের জন্য ব্যয় সংকোচন এবং আয়কর ও অন্যান্য করের পরিমাণ বাড়িয়ে মোট ৫.৪ বিলিয়ন ইউরো পাওয়া যাবে।

ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্টের সব বিরোধী দলীয় সদস্যরা। ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি ১৫৩ ভোটে পাস হয়।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস বলেন, গ্রিস তার কথা রেখে সংস্কার করেছে। এখন ঋণদাতাদের তাদের কথা রাখতে হবে।

আলেক্সিস সিপ্রাস

ওই প্রস্তাব পাসের পর প্রায় ১০ হাজার মানুষ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেন। মধ্য এথেন্সে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে তরুণ বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

২০১১-১২ সালে তীব্র আর্থিক মন্দায় কার্যত দেউলিয়া ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে গ্রিস। তখনই সিপ্রাসের বামপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে তারা ক্ষমতায় আসার আগে ব্যয় সংকোচনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলেও, ক্ষমতায় আসার পর ব্যয় সংকোচনের পথেই হাঁটতে হয়েছে তাদের।  

/এসএ/