উ. কোরিয়ায় হামলা হবে মর্মান্তিক: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড এবং জেমস ম্যাটিসউত্তর কোরিয়া সংকটের সামরিক সমাধান খুঁজতে যাওয়া হবে ‘অবিশ্বাস্য মাত্রায় মর্মান্তিক’, এমনটাই বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ম্যাটিস সতর্ক করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, যদি এ সংকটের নিরসনে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে এটি অবিশ্বাস্য মাত্রায় মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনবে।’

সমাধানের পথ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে বলেন, ‘আমাদের কাজ হবে জাতিসংঘ, চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করে একটি সমাধানের পথ বের করা।’

ম্যাটিস অভিযোগ করেন, পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথা শুনছে না। তবে উত্তর কোরিয়াকে চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটন শত্রুতাপূর্ণ আচরণ বন্ধ না করা পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষা চলতেই থাকবে।

গত ১৪ মে (রবিবার) উত্তর কোরিয়া একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এটি দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় ওঠার পর উত্তর কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৭০০ কিলোমিটার পূর্বে জাপান সাগরে পতিত হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি চার হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এর আগে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে ‘এককভাবে’ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বড় ধরনের সংঘাত’ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরিয়া উপদ্বীপে পাঠানোর ঘোষণার পর শুরু হওয়া যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিনের উপস্থিতি।

কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

পিয়ংইয়ং কোরিয়া উপদ্বীপে যে কোনও সামরিক মহড়াকে আগ্রাসন বলে মনে করে। তারা এর প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘মার্কিন আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলা চালানো হবে। মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দেওয়া হবে।’  

/এসএ/