নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সফলতা দাবি উ. কোরিয়ার

উ. কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্রনতুন করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সফলতা দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলে মাঝারি পাল্লার ওই প্রজেক্টাইল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। মঙ্গলবার উ. কোরিয়ার সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সফলতা দাবি করে রাষ্ট্রীয় কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ইতোমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গেছে। তবে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সবশেষ তিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে রবিবারের ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা সবথেকে কম।

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুকচাং-এর কাছের একটি এলাকা থেকে রবিবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায় গিয়ে পড়ে। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ভারী পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনের সক্ষমতা যাচাই করতে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুসং এলাকা থেকে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পর প্রায় সাতশ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে জাপান সাগরে গিয়ে পড়েছিল।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ও নিন্দা অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষার এ নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়। পিয়ংইয়ং-এর পক্ষ থেকে ৬ষ্ঠ পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

/বিএ/