সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। মিন্দানাও প্রদেশে বেশ কয়েকটি মুসলিম সশস্ত্র দল স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে লড়াই করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুক্ত।
মঙ্গলবার মিন্দানাওয়ের মারাউয়ি শহরে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিনেতার অনুসন্ধানে অভিযান চালানোর সময় সেনাবাহিনীদের সঙ্গে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সংঘর্ষ হয়। সেনাবাহিনীর ধারণা, তাদের সঙ্গে আইএসের সম্পর্ক রয়েছে।
সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় মৌতে সদস্যরা ওই হামলা চালিয়েছে। তারা শহরটি দখল করে গির্জাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওই শহরটি ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ওই হামলার পর রাশিয়া সফররত প্রেসিডেন্ট দুয়ার্তে ৬০ দিনের জন্য মিন্দানাও প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
অনলাইনে এক ভিডিও বার্তায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে দুয়ার্তে বলেন, ‘যদি এক বছর ধরে এ জরুরি অবস্থা জারি থাকে, তবুও আমি তা চালিয়ে যাবো। যদি তা এক মাসেই শেষ হয়ে পড়ে, তাহলে আমি খুশি হবো।’
সংঘর্ষের পর দুয়ার্তে তার রুশ সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, আইএস ও অন্যান্য জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে ফিলিপাইনের আরও উন্নত অস্ত্রের প্রয়োজন।
জরুরি অবস্থার সময়ে মিন্দানাও প্রদেশে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী যে কোনও কারণে সন্দেহভাজন কাউকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটক রাখতে পারে।
ফিলিপাইনের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট ৬০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন। পার্লামেন্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। আবার সুপ্রিম কোর্ট তার বৈধতা পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
১৯৮৬ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের পতনের পর থেকে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার ফিলিপাইনে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলো।
/এসএ/