এ তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানোর কথাও বলেন তিনি।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘এ তথ্য ফাঁস খুবই সংবেদনশীল ঘটনা। যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আমি বিচার বিভাগ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে এ ঘটনার একটি পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিশেষ সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। তথ্য ফাঁসের এমন ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না।’
হামলায় ব্যবহৃত বোমার ছবি প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ছবিতে দেখা যায়, ব্যাটারি ও স্ক্রু’সহ একটি বস্তু যা বোমা বলে দাবি করা হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাকপ্যাকের কিছু ছেঁড়া অংশও লেগে আছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, সোমবার কনসার্টে হামলায় এই বোমাই ব্যবহার করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যামবার রুডও তদন্তের আলামত ফাঁসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ব্রিটিশ পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা তথ্য প্রকাশের ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটি সঠিক তদন্তের জন্য প্রয়োজন। আমিও আমাদের মিত্রদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে এমনটা যেন আর না হয়।’ তবে এ তথ্য ফাঁসের ঘটনা তদন্তে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২২ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে এ হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হন অন্তত ২২ জন। আহত হন কমপক্ষে ১১৬ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
/এসএ/