ভারতের বাজারে জবাইয়ের জন্য গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

শুধু কৃষিকাজের জন্য হাটে গবাদি পশু বিক্রি করা যাবেগো-হত্যা বন্ধে এবার নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। জবাইয়ের উদ্দেশ্যে হাটে গবাদি পশু বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। অর্থাৎ এখন থেকে হাটে শুধু কৃষি জমির মালিকদের কাছেই গবাদি পশু বিক্রি করা যাবে, জবাইয়ের জন্য পশু কেনা-বেচা করা যাবে না। 
ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিধি-নিষেধ জারির করেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে বেচা-কেনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
কেন্দ্র সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গবাদি পশু কেবল তাদের কাছেই বিক্রি করা যাবে, যারা কৃষিজমির মালিক বা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এজন্য প্রয়োজনীয় নথি না দেখাতে পারলে গবাদি পশু বিক্রি আইনত অপরাধ বলে মনে করা হবে। ক্রয়কারী ব্যক্তিকেও নিশ্চিত করতে হবে ওই পশু তিনি হত্যার জন্য কিংবা বলিদানের জন্য কিনছেন না কিংবা সে উদ্দেশ্যে অন্য কারও কাছে বিক্রি করবেন না। এছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দেশের মধ্যে আন্তর্জতিক সীমান্তের কাছাকাছি (২৫ কিলোমিটারের মধ্যে) কোথাও পশুর হাট থাকলে সেখানেও গবাদি পশু বিক্রি করা যাবে না। পাশাপশি, রাজ্যের বাইরে কোনও পশুকে নিয়ে যেতে হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুমতি লাগবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষিত গবাদি পশু সংক্রান্ত বিধির আওতায় পড়বে-গরু, মহিষ, ভেড়া, বাছুর, উট ও এ জাতীয় পশু। 


উল্লেখ্য,গত বছরের বিভিন্ন সময়ে গো-হত্যা ও গরুর মাংস বিক্রির গুজবে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়। চলতি বছরের ১ এপ্রিল রাজস্থানে,এরপর আসামে গোহত্যাকে কেন্দ্র করে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতেও গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে উত্তাল হয়ে ওঠে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর স্টেশন। তবে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়া, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও সিকিমসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশে গরুর মাংস বিক্রির অনুমতি আছে।
/এফইউ/