আগুনের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল দেড় বছর আগে

লন্ডনের আগুনলন্ডনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জ্বলছে গ্রেনফেল টাওয়ার। ভেতরে আটকা পড়েছেন শত শত মানুষ। যেকোনও সময় ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে আগুনের ঝুঁকির ব্যাপারে প্রায় দেড় বছর আগেই সতর্কতা দেওয়া হয়েছিলো বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ।

এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডের  ১৮ মাস আগেই বসবাসরতদের আগুনের ঝুঁকির ব্যাপারে সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল। ল্যানচেস্টার ওয়েস্ট-ওর কমিউনিটিভিত্তিক ব্লগ গ্রেনফেল অ্যাকশন গ্রুপ। ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি এক ব্লগের মাধ্যমে তারা জানায়, বাড়ি নির্মাণের সময় ব্যবহৃত রাবিশের কারণে আগুন লাগতে পারে। আর তখন ভেতরে আটকা পড়তে পারেন অনেকে।

বুধবার রাতে পশ্চিম লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। রাত ১টা ১৫ এর দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৪০টি ইউনিট ও ২০০ দমকলকর্মী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিলো গ্রেনফেল অ্যাকশন গ্রুপ। রিপোর্টে বলা হয়, বেসমেন্ট, লিফটের মোটর রুপ ও গ্রাউন্ড ফ্লোরের ইলেক্ট্রিকাল রুমের অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র এক বছরেরও বেশি পুরাতন ছিলো। আর ২০০৯ সালের পর থেকে সেগুলো পরীক্ষাও করা হয়নি বলে দাবি করে গ্রুপটি।

সেসময় তারা আরও জানায় যে টেনান্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন বাড়ি নির্মাণের সময় রাবিশ ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

গ্রেনফেল অ্যাকশন গ্রুপ নিজেদেরকে ল্যাঙ্কাস্টার ওয়েস্ট কমিউনিটর সেবায় নিয়োজিত বলে দাবি করে। ২০১০ সালে গঠিত এই সংস্থাটি এর আগে ল্যাঙ্কাস্টার গ্রিনের নির্মাণের বিরোধীতাও করেছিলো।

এবিসিরি প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দাদের কাছে এটা পরিষ্কার ছিল যে দায়িত্বে অবহেলা ও ব্যক্তিগত শত্রুতা যেকোনও সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর জমির মালিকরাও টাওয়ারটিতে প্রবেশ ও বাহিরপথে নিরাপত্তা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

১৯৭৪ সালে নির্মিত ভবনটিতে ১২০টি বাসা ছিলো। ২০০ জনেরও  বেশি মানুষ এখানে বসবাস করতো। তবে আগুন লাগার পর ঠিক কতজন বের হতে পেরেছেন বা কতজন আটকা পড়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

আগুন লাগার আগে টাওয়ারটিতে সংস্কার কাজ চলছিলো। ফলে বের হওয়ার অনেক রাস্তাই বন্ধ থাকতে পরে ধারণা করা হচ্ছে।

/এমএইচ/এফইউ/বিএ/