স্মৃতিতে আঘাত পেয়েছেন উ. কোরিয়া থেকে মুক্ত মার্কিন নাগরিক

160229101011-otto-warmbier-3-medium-plus-169

উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর এখনও কোথাও যাননি অতো ওয়ার্মবিয়ার। কথাও বলেননি কারও সঙ্গে। তার মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘আনরিসপন্সিভ ওয়েকফুলনেস  বলা হচ্ছে। চিকিৎসকরা এর ব্যাখ্যায় তার স্মৃতির সংকটজনক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটি মেডিকেল সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, ২২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের অনেক অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পারসিসটেন্ট ভেজিটেটিভ স্টেট নামের এই অবস্থায় চারপাশের কোনও কিছু বুঝতে পারেন না রোগীরা। নিউরোক্রিটিকাল কেয়ার প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ড. ড্যানয়েল কান্তার বলেন, ওয়ারমবিয়ার চোখ খোলেন। কিন্তু চারপাশ দেখে কিছু বুঝতে পারেন না। কোনও কথায় সাড়া দেন না। উত্তর কোরিয়া ১৭ মাস আটকা ছিলেন ওয়ার্মবিয়ার। সেখানে তিনি মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলো তার পরিবার।

পরিবার জানায় যে তারা গত সপ্তাহেই তাদের সন্তানের এই অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। উত্তর কোরিয়া এই অবস্থাকে ‘কোমা’ বলে অভিহিত করেছে। বৃহস্পতিবার তার বাবা ফ্রেড ওয়ার্মবিয়ার বলেন, উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিলো ২০১৬ সালের মার্চে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর এই অবস্থা হয় তাদের ছেলের। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ তারা।

চিকিৎসকরা জানান, তারা এখনও জানেন না উত্তর কোরিয়ায় তাকে কি অবস্থায় রাখা হয়েছিলো। এছাড়া কিভাবে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন সেই বিষয়েও নিশ্চিত নয় তারা। কয়েকটি ছবি পরীক্ষা করে তারা ধারণা করছেন ২০১৬ সালের এপ্রিলের দিকে কোনো আঘাতে এই অবস্থা হতে পারে। কান্তার বলেন, ‘তার এই আঘাত নিয়ে আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না। এই রকম ঘটনা কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের কারণে হয়ে থাকতে পারে। এতে করে মস্তিষ্কের অনেক কোষ মারা যায়।

/এমএইচ/বিএ/