কথা রাখলেন না থেরেসা মে!

কথা রাখলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গ্রেনফেলের দুর্গতদের পুনর্বাসন প্রশ্নে করা এক অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছেন তিনি। স্কাই নিউজের এক খবর থেকে ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের আভাস মিলেছে।  ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড নগদ অর্থ সহায়তা তহবিল।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেওই প্যাকেজ সম্পর্কে বলতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ডাউনিং স্ট্রিট অঙ্গীকার করছে, গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুন লাগার ঘটনায় যারা ঘরহারা হয়েছেন তাদের তিন সপ্তাহের মধ্যে পুনর্বাসিত করা হবে। আগের আবাসের খুব কাছাকাছিই তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও অঙ্গীকারের কথা জানায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দুর্গত ওইসব পরিবারের শিশুরা যেন আগের স্কুলেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই ডাউনিং স্ট্রিট এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।

তবে স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বিবৃতিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন। তিনি স্বীকার করেন, ঘরহারা সবাইকে তিনি তাদের আগের আবাসের কাছাকাছি পুনর্বাসিত করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘যত জন মানুষকে সম্ভব তাদের আগের আবাসের কাছাকাছি অথবা পাশের কোনও এলাকায় পুনর্বাসিত করা হবে।’ থেরেসা দাবি করেন, ‘সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষ লন্ডনের অন্য এলাকায় চলে যেতে চান’।

ঘটনাস্থলে  প্রথমবার গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা না বলে ক্ষোভের জন্ম দেওয়া প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় সেখানে গিয়ে জনতার বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তায় ধস নামার খবর দিয়েছে বিখ্যাত এক জরিপ প্রতিষ্ঠান। এই ঘটনা তার সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটে গ্রেনফেল টাওয়ারের দুর্গতদের সঙ্গে তার দেখা করার কথা।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে পশ্চিম লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের তাণ্ডবে ভবনটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন ১৯। তবে এখনও প্রায় ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লন্ডন মেট্রোপলিট্ন পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে, সব মরদেহ পাওয়ার ব্যাপারে তারা নিজেরাই নিশ্চিত নন।

/বিএ/