উ. কোরিয়ার কারাগারে কোমায় চলে যাওয়া মার্কিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু

উত্তর কোরিয়ায় আটক অটো ওয়ার্মবিয়েরউত্তর কোরিয়ায় কারাবাসের সময় কোমায় চলে যাওয়া মার্কিন শিক্ষার্থী অটো ওয়ার্মবিয়ের মারা গেছেন। তাকে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল পিয়ংইয়ং। পরিবারের দাবি, নির্যাতনের শিকার হয়ে অটো কোমায় চলে যান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

২২ বছর বয়সী অটো ওয়ার্মবিয়ের একটি পর্যটক দলের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নতুন বছর উদযাপনের জন্য বেইজিং থেকে পিয়ংইয়ং গিয়েছিলেন। তারা ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। হোটেল থেকে একটি ‘প্রচারণামূলক চিহ্ন’ চুরি করার অপরাধে তাকে ১৫ বছরের কঠোর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় উত্তর কোরিয়া। কারাবাসের সময় গত এক বছর ধরে অটো ওয়ার্মবিয়ের কোমায় ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও অটোর পরিবারকে তার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে উত্তর কোরিয়া। ১৩ জুন কোমায় থাকা অটোকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। এরপরনিজ শহর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, বচিউলিজম নামের এক অসুখে অটো কোমায় চলে যান। তবে তার এই অসুখ কিভাবে হলো, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

অটোর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা গেছেন।

চিকিৎসকদের একটি প্যানেল উত্তর কোরিয়ার বক্তব্যকে খারিজ করে জানিয়েছে, অটোকে পরীক্ষার পর মস্তিষ্কে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ক্ষতের ফলেই তিনি কোমায় চলে যান।   

তার বাবা সাংবাদিকদের এর আগে বলেছিলেন, “তাকে আটক করে যা করা হয়েছে, সেই ভয়াবহ ব্যাপার মেনে নেওয়া কঠিন।”

ওই মার্কিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একটি ‘নিষ্ঠুর রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলা করবেন।  

/এসএ/