মার্কিন মসজিদের পাশে মুসলিম কিশোরী ঘৃণাবাদী হামলার শিকার হননি: পুলিশ

ডারউইন মার্টিনেজ টরেসমার্কিন অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ার একটি মসজিদের পাশে গাড়ির আঘাতে নিহত হন মুসলিম কিশোরী নাবরা হাসানেন। প্রথমে এটিকে ঘৃণাবাদী হামলা বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি ঘৃণাবাদী হামলা ছিল না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার ভোররাতে মসজিদ থেকে নামাজ করে ফিরছিলেন ১৭ বছর বয়সী নাবরা ও তার বন্ধুরা। সে সময় মসজিদের কাছে একটি গাড়ির আঘাতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী গাড়িচালক ডারউইন মার্টিনেজ টরেসকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রথমে এটিকে ঘৃণাবাদী হামলা বলে উল্লেখ করলেও পরে সে অবস্থান থেকে সরে আসে পুলিশ।

টরেস নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, হাসানেনের গ্রুপের এক মোটর সাইকেল আরোহীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। এরই জের ধরে টরেস তার ওপর গাড়ি তুলে দেন।

ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি পুলিশের প্রধান জুলি পার্কার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি রাগের বশবর্তী হয়ে ওই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও জানান, এখানে মুসলিম বা বর্ণবিদ্বেষী কোনও বিষয় খুঁজে পায়নি পুলিশ। এমনকি সন্দেহভাজন ব্যক্তি এমন কোনও মন্তব্যও করেননি।

ঘটনার বিবরণে পার্কার বলেন, ১৫ জন কিশোর-কিশোরী ভোর ৩টা ৪০-এর দিকে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। তাদের কয়েকজন রাস্তায় ছিল। এক মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় টরেসের। তিনি তাকে পার্কিং এলাকায় ধাওয়া করেন এবং সেখান থেকে বের হয়ে তার গাড়ি হাসানেনকে সজোরে আঘাত করে পুকুরে ফেলে দেয়। ডুবুরিরা অভিযান চালিয়ে পুকুর থেকে হাসানেনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

/এসএ/