থেরেসা সরকারকে সমর্থনে ২০০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি চায় ডিইউপি

ব্রিটেনে থেরেসা মে’র নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকারকে সমর্থনের জন্য নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে বড় ধরনের বিনিয়োগসহ বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি)। কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সংসদীয় চুক্তিতে আসতে উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে ২০০ কোটি পাউন্ড বিলিয়ন বিনিয়োগ চায় দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে।

ডিইউপি নেতা আরলিন ফস্টার ও থেরেসা মে
গত ৮ জুন অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর সংখ্যালঘু সরকারের নীতিমালাকে বাস্তবায়নের জন্য কনজারভেটিভ পার্টি ডিইউপির সমর্থন চায়। ‘কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই’ ভিত্তিতে ডিইউপিকে নিয়ে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গড়ে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন থেরেসা মে। এর অর্থ হলো, হাউস অব কমন্সে যদি মে’র প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তাহলে ডিইউপি তাকে সমর্থন করবে এবং বাজেটে সরকারের পক্ষে ভোট দেবে। নির্বাচনের পর এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়। মঙ্গলবার পারস্পরিক আলোচনায় সমস্যা সৃষ্টির কথা জানায় ডিইউপি। দলের জ্যেষ্ঠ্য নেতারা বলছেন, জোট গঠন নিয়ে আলোচনা ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি’। আর কনজারভেটিভ পার্টি জানায়, আলোচনা পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।

এই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, থেরেসার সরকারের কাছে উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১০০ কোটি পাউন্ড এবং অবকাঠামোগত প্রকল্পে ১০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি চায় ডিইউপি। করপোরেশন কর কমানো এবং বিমান যাত্রীদের শুল্ক বাদ দেওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপের ওপরও জোর দিচ্ছেন তারা।

বিবিসি নিউজের নর্থ আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধি স্টিফেন ওয়াকার বলেন, ‘আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, বিমান যাত্রদের শুল্ক বাদ দেওয়া পরিকল্পনাটি নিয়ে ট্রেজারির অভ্যন্তরে অনেক বিরোধিতা রয়েছে। এটাও জানা গেছে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় কাউন্সিলগুলোর জন্য নগর চুক্তির পরিকল্পনাও রয়েছে ডিইউপির। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষমতা পাবে। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো এবং অতিরিক্ত বিনোয়োগ থেকে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর মুনাফাও দেখতে চায় দলটি।’

এদিকে, ডিইউপির সমর্থন নিশ্চিত না হয়েই বুধবার রানির মাধ্যমে থেরেসা মে তার নতুন সরকারের খসড়া আইন ও নীতিমালা পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেছেন। এদিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কুইন্স স্পিচের মধ্য দিয়ে নতুন সরকারের পরবর্তী দুই বছরের নীতিমালা তুলে ধরেন।

/এফইউ/