অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায় যুক্তরাজ্য

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ২০১২ সাল থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে একটা সমাধানে পৌঁছাতে চায় যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দা এসপিনোসা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ধর্ষণের অভিযোগে এক তদন্ত থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় সুইডেন। তদন্তে অব্যাহতি পাওয়ার পর অ্যাসাঞ্জ বলেন, অন্যায্যভাবে আমাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ধর্ষণের অভিযোগ আমাকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় চাইতে বাধ্য করেছে। এটা আমার জীবনের সাতটি বছর নষ্ট করেছে। এটা ক্ষমাহীন অপরাধ। এটি ভুলে যাওয়ার মতো নয়।

ব্রিটিশ পুলিশ বলছে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও বহাল রয়েছে। ফলে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই তারা তাকে গ্রেফতারে বাধ্য। ধর্ষণ মামলায় সুইডিশ প্রসিকিউটররা অ্যাসাঞ্জ-এর বিরুদ্ধে তদন্তে ইতি টানার ঘোষণা দেওয়ার পর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক বিবৃতিতে সংস্থাটির এমন অবস্থানের কথা জানানো হয়। ফলে এখনও পর্যন্ত লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ।

ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দা এসপিনোসা বলেন, প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাজ্য এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তবে স্পষ্টতই এটা ব্রিটিশ বিচার বিভাগের হাতে। বিচারের বিভাগের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

২০১২ সালের ২৯ জুন এক মামলায় যুক্তরাজ্যের আদালতে আত্মসমর্পণে ব্যর্থ হওয়ায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। গত মে মাসে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের ওই পরোয়ানা এখনও বহাল রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণের অভিযোগে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত আর অব্যাহত না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুইডেনের প্রধান প্রসিকিউটর মারিয়ান নে। তবে লন্ডনে এখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই আদালতে আত্মসমর্পণ না করার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর গোপন তথ্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আধিপত্যবাদবিরোধী মানুষদের প্রতীকী কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। একটি ধর্ষণ মামলা দিয়ে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

/এমপি/