কখনও শিক্ষার্থীরা, কখনও রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট, আবার কখনও পরিবেশবাদীরা। হামবুর্গের জি-টোয়েন্টি সম্মেলন ঘিরে প্রতিবাদে মুখর বহু প্রতিবাদকারী। তাদের প্রতিবাদের ধরনেও রয়েছে বৈচিত্র্য আর সৃজনশীলতার ছাপ। প্রতিবাদকারীদের কয়েকজনকে নিয়ে এই ছবিঘর।
ট্রাম্পের রাস্তায় বাধা দেওয়ার পরিণাম
ট্রাম্প যাবেন শোয়ানেনভিক রাস্তা দিয়ে। তাই সে রাস্তাটি ব্লক করেছিলেন প্রতিবাদকারীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ে। পানিতে অনেক প্রতিবাদকারী ভিজে একাকার হয়েছেন। পরে তাদের এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দেখা গেছে।
পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই
পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া প্রতিবাদকারীদের ব্যানার এটি। পুলিশের কড়া অবস্থান সত্ত্বেও কয়েকশত বিক্ষোভকারী হামবুর্গের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন থেকে একটি প্রতিবাদ ব়্যালি নিয়ে সেন্ট পাউলির দিকে যেতে সক্ষম হয়।
নো জি-টোয়েন্টি
জি-টোয়েন্টি চান না এই প্রতিবাদকারী। তাই ছাতাতে লিখে দিয়েছেন সেই কথা। পাশে আরেকজন দেখাচ্ছেন শান্তির প্রতীক।
তোমাদের সমাধান আমাদের সমস্যা
শুক্রবার এক প্রতিবাদ ব়্যালিতে অংশ নেন অনেক শিক্ষার্থী। তাদেরই একজনের হাতে ছিল এই ব্যানার।
বন্ধুদের সঙ্গে ব়্যালিতে
তার বন্ধুরা নাকি সবাই ‘ব্যাড কিডস’! এমনই দাবি প্রতিবাদে অংশ নেয়া এই শিক্ষার্থীর। এর মাধ্যমে তিনি কি কোনও প্রেসিডেন্টকে ইঙ্গিত করছেন?
চেহারা দেখাতে মানা
হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কেউ কেউ নিজেদের চেহারা বা পরিচয় প্রকাশে আগ্রহী হননি। ছবি তুলতে গেলে তেমন একজন ছাতা মেলে ধরেন।
ওয়ান্টেড তালিকায় বিশ্বনেতারা
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে ওয়ান্টেড তালিকায় ফেলেছেন প্রতিবাদকারীরা। এর কারণও অবশ্য লেখা আছে ব্যানারে।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান
মানবতার খাতিরে ‘ফ্যাসিস্ট অ্যামেরিকার’ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এই প্রতিবাদকারীরা। তাদের মতো আরও অনেককে দেখা গেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। বিশেষ করে জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসায় তার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
পোশাকে প্রতিবাদ
প্রতিবাদকারীরা তাদের পোশাকেও জি-টোয়েন্টি বিরোধী স্টিকার এঁটে দিয়েছেন। শুক্রবার একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশের সতর্ক অবস্থান
হামবুর্গে পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে প্রতিবাদকারীরা বড় ধরনের সহিংস কোনও ঘটনা ঘটাতে পারেনি। শুক্রবার একটি বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ জলকামান ও মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামবুর্গে বর্তমানে ২০ হাজারের মতো পুলিশ অবস্থান করছে। শহরের রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা রাখা হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
/এমপি/