ভারতীয় উপমহাদেশে আরও সক্রিয় হচ্ছে আল-কায়েদা: মার্কিন কংগ্রেসম্যান

ভারতীয় উপমহাদেশে নিজেদের অবস্থান ঘোষণার তিন বছর পর আরও সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা। বিশেষ করে বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম শক্ত করছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান। একইসঙ্গে পাকিস্তান ও আফগান সীমান্তেও নিজেদের জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে জানানো হয়।

_60714109_60714108

কংগ্রেসম্যান সেথ জোনস বলেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই আল-কায়েদা বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে। হামলারও পরিকল্পনা করছে তারা। নিজেদের মিডিয়া আস-সাহাবে প্রকাশিত সংবাদে প্রচারণা চালিয়েছে আল-কায়েদা।’ বৃহস্পতিবার কাউন্টার টেরোরিজম নিয়ে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক ‍উপকমিটিকে দেওয়া এক শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নীতি কেন্দ্রের প্রধান জোনস বলেন, আল-কায়েদা ইতোমধ্যে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। ২০১৭ সালে গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের কান্দাহার, জাবুল, পাকতিকা, গজনি ও নুরিস্তান প্রদেশথেকে কয়েক শ’ সদস্য নিয়েছে তারা। বিগত ৫-১০ বছরের মধ্যে এখনই আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, তালেবান ও আল-কায়েদার কারণে এই অঞ্চলে তেহরিক-ই তালেবান ও লস্কর-ই জাংভির মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও আত্মপ্রকাশ করেছে।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাওয়াহিরি ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদার উপস্থিতি ঘোষণা করে। জোনস দাবি করেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নিজেদের শক্ত অবস্থানের মাধ্যমেই এই ঘোষণা দেন জাওয়াহিরি। সেসময় জাওয়াহিরি বলেছিলেন, এই অঞ্চলে কায়দা আল-জিহাদ নামে একটি শাখা গড়ে তুলেছে আল-কায়েদা। জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করবে এই সংগঠন।

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এর গবেষক ক্যাথরেনি জিমারম্যান বলেন, ২০১৪ সালে ঘোষণা দেওয়া হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও আল-কায়েদার অবস্থান দুর্বল। তিনি বলেন, এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানে কয়েকটি আস্তানা গড়ে তুলেছে। খোরাসানে পাশতুনরা কাজ চালায়। এখান থেকেই আফগানিস্তান ও ইরানে অভিযান পরিচালনা করে তারা। আর পাঞ্জাব থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের কার্যক্রম চালায়

জিমারম্যান কংগ্রেসম্যানদের জানান, সাম্প্রতিক প্রচারণার মাধ্যমে আল-কায়েদা এই অঞ্চলে তাদের অবস্থান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারে।

/এমএইচ/