ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ২

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সংগঠন রিফিউজ-ফ্যাসিজম-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ট্রাম্প-পেন্স যুগের অবসান প্রত্যাশা করা হয়। বিক্ষোভ থেকে সংঘর্ষের সূচনা হ্ওয়ার এক পর্যায়ে গ্রেফতার করা হয় দু্’জন ট্রাম্পবিরোধীকে।ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে বিক্ষোভ-১

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক, দ্য হিল এবং তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে। ওইসব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গতকাল নিউ ইয়র্ক নগরী, নিউ জার্সি, শিকাগো, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন, বোস্টন, পোর্টল্যান্ড এবং লস অ্যাঞ্জেলসসহ অন্তত ২০ স্থানে রিফিউজফ্যাসিজম আয়োজিত বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে ট্রাম্প-পেন্স প্রশাসনের শাসনকাল অবসানের ডাক দেওয়া হয়েছে। বহুদিন থেকে ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি জানিয়ে আসছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কট্টর বিরোধী সংগঠন রিফিউজফ্যাসিজম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হলিউডে দুই পক্ষের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের সমর্থকসহ দুই বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে বিক্ষোভ-৩

ফেসবুকে দেয়া স্টাটাসে রিফিউজফ্যাসিজম বলেছে, ট্রাম্প-পেনেন্স প্রশাসন প্রতিদিনই অভিবাসী এবং মুসলমানদের ওপর ফ্যাসিবাদী হামলা বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার ভয়াবহতাও তুলে ধরা হয়। গরীব মার্কিন নাগরিক, কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাদামী জনগোষ্ঠীসহ নারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের হামলার বিষয়টিও উঠে আসে বিক্ষোভ সামবেশে।

হলিউডে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় তার সমর্থকদের বিক্ষোভ। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে দুই ব্যক্তিকে এখান থেকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ট্রাম্পের সমর্থক। বিরোধী পক্ষের এক ব্যক্তির ওপর হামলার দায়ে তাকে আটক করা হয়েছে। হামলার শিকার ৭২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক বলেছেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। আটক দ্বিতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য খবরে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হলিউড বুলেভার্ডে ট্রাম্প সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটল। মার্চে একই রকম বিক্ষোভ শোভাযাত্রা করেছিল উভয় পক্ষ। 
ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে বিক্ষোভ-৪

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী মারাত্মক অপরাধ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে প্রেসিডেন্টের ইমপিচ করা যায়। এ জন্য দেশটির সংখ্যাধিক্য জনপ্রতিনিধির ভোটের প্রয়োজন রয়েছে। অবশ্য, বর্তমানে মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের বেশির ভাগই রিপাবলিকান দলের সদস্য। সে কারণে রাজনীতিবিশ্লেষকরা ট্রাম্পের অভিশংসনের সম্ভাব্যতাকে আপাতত অলীক মনে করছেন।

/বিএ/