উ. কোরিয়াকে এক নজিরবিহীন প্রস্তাব দিলো দ. কোরিয়া

ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে দ. কোরিয়া। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, সামরিক পর্যায়ে আলোচনা করতে উ. কোরিয়াকে  প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সরকার।  বিরল এই প্রস্তাব সম্পর্কে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উ. কোরিয়া রাজি থাকলে ২১ জুলাই দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী টঙ্গিলগাক ভবনে এই আলোচনা হতে পারে।
noname

মে মাসে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও মুন উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পিয়ংইয়ং-এর পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আগের তুলনায় আরো বেশি চাপ দিতে আলোচনার প্রয়োজন। সেই বক্তব্যের সপ্তাহখানেক পর আলোচনার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এলো।

একইদিন দক্ষিণ কোরিয়ার রেড ক্রস দু্‌ই কোরিয়ার মধ্যে পারিবারিক পুনর্মিলনী বিষয়েও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। অক্টোবরে ছুসিউকের ছুটির সময় কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারগুলোর সদস্যদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিতে চলতি বছরের ১ অগাস্ট দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনার এ প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

রয়টার্স বলছে, ২০১৫ সালে শেষবার দুই কোরিয়ার মধ্যে সরকারি পর্যায়ের আলোচনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সামরিক ও কূটনৈতিক বিরোধ মাথাচাড়া দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিয়ংইয়ং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করায় ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে।  সেই উত্তেজনা নিরসনেই দক্ষিণের পক্ষ থেকে সামরিক পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সে দেশের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী সুহ চো-সুক জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে সুহ চো-সুক দাবি করেন, “সীমানা রেখায় বিরোধপূর্ণ সব কার্যক্রম যা সামরিক উত্তেজনা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে, তা বন্ধ করতেই ২১ জুলাই টঙ্গিলগাকে উত্তরের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে” । তবে সামরিক ইস্যুতে কোথায় কোথায় বিরোধ রয়েছে, তা বিস্তারিত জানাননি সুহ।

দুই কোরিয়ার সীমানায় পানমুনজম গ্রামে উত্তর কোরিয়ার ওই ভবনে ২০১৫-র ডিসেম্বরে সিউল ও পিয়ংইয়ং এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ের আলোচনা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া মূলত উত্তরের প্রচারণা ও উস্কানির বিরোধিতা করে আসছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে পিয়ংইয়ং চায় বছর বছর চলা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ হোক।

/বিএ/