চীনে রফতানি বাড়াতে অনলাইন বাণিজ্যে আগ্রহী বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা

ই-কমার্স ব্যবস্থার মাধ্যমে (অনলাইন বাণিজ্য) চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রফতানি বৃদ্ধির স্বার্থে ই-কমার্স ব্যবস্থা ব্যবহারের ওপর জোর দেন তারা। ‘ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে রফতানি করবেন যেভাবে’ নামে ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


ঢাকায় দুই দিনের ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার থেকে ঢাকায় দুইদিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। যৌথভাবে প্রশিক্ষণটির আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার। সোমবার প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী দিনে অন্যদের পাশাপাশি ডিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক কাউন্সেলর লি গুয়াংজুন উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেন ২৫ জন ব্যক্তি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, “ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিশেষ করে যারা ই-কমার্সে যুক্ত তারা এ প্রশিক্ষণ থেকে লাভবান হবেন।”
তিনি বলেন, “ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে রফতানি জোরালো করতে উদ্যোক্তাকে সশরীরে চীনে যেতে হবে না।”

লি গুয়াংজুনও ই-কমার্স বাণিজ্যের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা চীনে রফতানি করতে পারেন। তিনি জানান, গত বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫শ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রফতানিকৃত পণ্যের মূল্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার।

/এফইউ/বিএ/