ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ হতে পারবেন মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের একাংশ

চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিহারায়িং প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের একাংশ বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন; জানিয়েছেন কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম। বুধবার টেলিফোনে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফাইল ছবি: মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি

সোমবার কুয়ালালামপুরে হাইকমিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শহীদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘আমরা গত পর্শুদিন মালয়েশীয় অভিবাসন দফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি পরিষ্কারভাবে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, যে অবৈধ বাংলাদেশিরা রিহায়ারিং প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে বৈধ হবেন, তারা নির্বিঘ্নে ৩ থেকে ৫ বছর মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, রিহায়ারিং প্রক্রিয়ায় কেবল সেই বাংলাদেশিরা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন, যারা মালয়েশিয়ায় বৈধ প্রক্রিয়ায় গিয়ে নানান কারণে পরবর্তীতে অবৈধ হয়েছেন। তবে যারা পুরোপুরি অবৈধ প্রক্রিয়ায় সেখানে গেছেন, তাদের জন্য কেবল ই-কার্ড ব্যবহার করে বৈধ হওয়ার সুযোগ ছিল। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৈধ কাগজপত্রবিহীন শ্রমিকদের ই-কার্ড বা এনফোর্সমেন্ট কার্ড আবেদনের সুযোগ দেয় মালয়েশিয়া সরকার। বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে এবং এ সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বৈধ কাগজপত্রের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ই-কার্ড রেজিস্ট্রেশনের চূড়ান্ত সময়সীমা ছিল ৩০ জুন। দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও কিছুদিন কার্ড সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এখনও ই ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।
মালয়েশিয়ায় বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের একাংশ

অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ধারণা ছিল, অন্তত ৪ লাখ অবৈধ শ্রমিক ই কার্ড সংগ্রহ করবেন। তবে ইমিগ্রেশন দফতরের তথ্য অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৬ হাজার ৯৫৭টি কোম্পানির মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ জন কর্মী ই-কার্ডের আবেদন করেন। ১৫টি দেশের নাগরিক এই আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭১ হাজার ৯০৩; এর পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (২৬ হাজার ৭৬৪) ও মিয়ানমারের (১১ হাজার ৮২৫) নাগরিকরা। কিছু আবেদন বাতিল হওয়ায় সময়সীমা শেষে কেবল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৭১ শ্রমিক ই-কার্ড পেয়েছেন। সেই হিসেবে আড়াই লাখেরও বেশি শ্রমিক অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।  
/এসএসজেড/বিএ/