সিরিয়ায় সিআইএ’র গোপন কর্মসূচি স্থগিত, নেপথ্যে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্ক

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সরঞ্জাম সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিতে মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএ’র চালানো গোপন কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।
পুতিন ও ট্রাম্পকর্মসূচি স্থগিতের ব্যাপারে অবগত ওই দুই কর্মকর্তা মিডল ইস্ট মনিটরকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন-প্রচেষ্টার অংশ হিসেব মার্কিন প্রশাসন কর্মসূচিটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস কিংবা সিআইএ’র কাছে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
আসাদ সরকার উৎখাতে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের বিভিন্ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে সিআইএ’র গোপন কর্মসূচিটি শুরু হয়। তবে মিডল ইস্ট মনিটরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংশ্লিষ্ট দুই মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, কর্মসূচি থেকে খুব সামান্যই সাফল্য এসেছে।
মিডল ইস্ট মনিটরের খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার মিত্র আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিআইএ’র কর্মসূচিটি বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। ওই দুই কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিআইএ’র এ কর্মসূচি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রাম্প ও পুতিন
ওই কর্মকর্তারা জানান, অধঃস্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ৭ জুলাইয়ের বৈঠকের আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ.আর ম্যাকমাস্টার এবং সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও এ সিদ্ধান্ত নেন। মিডল ইস্ট মনিটর আরও জানায়, ওয়াশিংটন পোস্টই বুধবার প্রথমবারের মতো সিআইএ’র কর্মসূচি বাতিল নিয়ে খবর প্রকাশ করে। ব্রিফিং চলার সময় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্সও এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সিআইএ-ও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
/এফইউ/বিএ/